০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

সদরপুরে অবৈধভাবে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ।

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ১১:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 206

সদরপুর (ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুভেচ্ছা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হাওলাদার(৭০) ও তার মেয়ে সেলিনা বেগম (৪৯) নামের দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং) সকাল ৮ ঘটিকায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ রশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শুভেচ্ছা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন (বিদ্যুৎ) জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ শতক জমি যা আমার স্কুলের সাথে এবং স্কুলের সীমানা প্রাচীর ধারা যাহা আমি ২৩ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু মোহাম্মদ হাওলাদার ও তার মেয়ে সেলিনা বেগম জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে অঙ্গাত সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গতে শুরু করে।এতে আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করতে আসে।

ভুক্তভোগী মোজাম্মেল আরো বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে স্কুল করেছি। এখন গায়ের জোরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা ও জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও এই জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলার ডিগ্রিতে ৩২ শতক জমির মধ্যে ৫ শতাংশ জমি আমার দখলীয় এবং বাকি ২৭ শতাংশ জমি মোহাম্মদ হাওলাদারের এখন জোর করে আমার ৫ শতক জমি সহ পুরোটাই দখল করেছে।

মোজাম্মেল আরো বলেন এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় অভিযোগ করেছি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর পুনরায় স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করে। পরে থানায় গেলে ওসি আমাকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হাওলাদারের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সদরপুর থানার এসআই এনামুল মুঠোফোনে বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করতে বলেছি এবং কাজ বন্ধ করেছে।
পুনরায় সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার কাজ শুরুর ব্যাপারে বলেন থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা বলতে।

সদরপুর থানার ওসি আঃ মোতালেব বলেন, প্রাচীর ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে বাদীপক্ষ আমার কাছে এলে আমি তাদেরকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

ঘোড়াঘাটে সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়কের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

সদরপুরে অবৈধভাবে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ।

আপডেট সময়: ১১:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সদরপুর (ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুভেচ্ছা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হাওলাদার(৭০) ও তার মেয়ে সেলিনা বেগম (৪৯) নামের দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং) সকাল ৮ ঘটিকায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ রশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শুভেচ্ছা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন (বিদ্যুৎ) জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ শতক জমি যা আমার স্কুলের সাথে এবং স্কুলের সীমানা প্রাচীর ধারা যাহা আমি ২৩ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু মোহাম্মদ হাওলাদার ও তার মেয়ে সেলিনা বেগম জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে অঙ্গাত সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গতে শুরু করে।এতে আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করতে আসে।

ভুক্তভোগী মোজাম্মেল আরো বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে স্কুল করেছি। এখন গায়ের জোরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা ও জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও এই জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলার ডিগ্রিতে ৩২ শতক জমির মধ্যে ৫ শতাংশ জমি আমার দখলীয় এবং বাকি ২৭ শতাংশ জমি মোহাম্মদ হাওলাদারের এখন জোর করে আমার ৫ শতক জমি সহ পুরোটাই দখল করেছে।

মোজাম্মেল আরো বলেন এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় অভিযোগ করেছি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর পুনরায় স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করে। পরে থানায় গেলে ওসি আমাকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হাওলাদারের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সদরপুর থানার এসআই এনামুল মুঠোফোনে বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করতে বলেছি এবং কাজ বন্ধ করেছে।
পুনরায় সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার কাজ শুরুর ব্যাপারে বলেন থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা বলতে।

সদরপুর থানার ওসি আঃ মোতালেব বলেন, প্রাচীর ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে বাদীপক্ষ আমার কাছে এলে আমি তাদেরকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।