০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

জগন্নাথপুরে বাড়ছে শীতের প্রকোপ,আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন 

মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ শৈত্যপ্রবাহের কারনে জবুথবু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না তেমন।মাঝে মধ্যে একবেলা দেখা মিললেও কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে ছিন্নমুল মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উপজেলার ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা বর্ণনাতীত। গরীব, অসহায় অনেক ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীতে খুব কষ্ট ভোগ করছেন। মধ্য রাত থেকে পাতা, খড়, পুরানো কাগজ, কাপড় জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছেন অনেকেই। অনেই আবার সন্ধ্যা থেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা যায়। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবী শীত নিবারনে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।

উপজেলার স্থানীয় মোহাম্মদগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার পংকজ কান্তি দাস বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া নিয়মিত মাস্ক পড়লেও ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

জগন্নাথপুরে বাড়ছে শীতের প্রকোপ,আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন 

আপডেট সময়: ০৪:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ শৈত্যপ্রবাহের কারনে জবুথবু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না তেমন।মাঝে মধ্যে একবেলা দেখা মিললেও কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে ছিন্নমুল মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উপজেলার ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা বর্ণনাতীত। গরীব, অসহায় অনেক ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীতে খুব কষ্ট ভোগ করছেন। মধ্য রাত থেকে পাতা, খড়, পুরানো কাগজ, কাপড় জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছেন অনেকেই। অনেই আবার সন্ধ্যা থেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা যায়। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবী শীত নিবারনে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।

উপজেলার স্থানীয় মোহাম্মদগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার পংকজ কান্তি দাস বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া নিয়মিত মাস্ক পড়লেও ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।