আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
আজ (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
শেখ হাসিনা ছাড়াও নিখোঁজের ঘটনায় যাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বলেন, গত ১৫ বছরে গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। সাদা পোশাকে বা ইউনিফর্মে হাজার হাজার মানুষকে বিভিন্ন বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা আর ফেরেনি, অধিকাংশই ফেরেনি। কেউ কেউ ফিরে গেলেও নির্দিষ্ট মামলায় তাদের আটক দেখানো হয়েছে। আবার কেউ কেউ স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে 'আয়না ঘর' থেকে ফিরেছেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। বাংলাদেশ তাকে ফেরত পাঠানোর আবেদন করলেও ভারত এখনো সাড়া দেয়নি।
গত শনিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাইনি।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ জারি করে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনবে সরকার।
নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিবাদী দল বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।