১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

দালাল শাজাহান মল্লিকের কাছে নরসিংদী এলএ অফিস জিম্মি ।

 

নরসিংদীতে সমাজ সেবক নামধারী কথিত বহুরূপী বিএনপি নেতা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ অফিসের দালাল শাজাহান মল্লিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলএ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিল গ্রহিতা নিরীহ জনসাধারণ। জানা যায় , কথিত শাহজাহান মল্লিক জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড। বিগত ফেসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলের ১৬ বছরে বিএনপির সকল নেতাকর্মী মামলা, হামলায় জর্জরিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। ভাগ্যবান শাজাহান মল্লিককে একবারও যেতে হয়নি জেল হাজতে। খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, সে ছিল পুলিশের দালাল বা সোর্স। তার দেয়া ইনফরমেশনে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে র সকল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হতে হয়। যখন বিএনপি নেতারা পালাতক, তখন শাজাহান মল্লিক নতুন গাড়ী কিনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাড়ী কেনার টাকার উৎস নিয়ে।
বিএনপির নেতা শাহজাহান মল্লিক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা নামক মাদক ব্যবসার অভিযোগ। সে কারনে পুলিশ বিভিন্ন সময় রেড দেয়। কিন্তু পুলিশের সোর্স আর টাকার বিনিময়ে সকল কিছু ধামা চাপা দিয়ে দেয়। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের নাম ভাঙিয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে জিম্মি করে রেখেছে। তাকে কেউ কিছু বলতে পারে না কারন সে বিএনপির প্রভাব প্রতিপত্তি খাঁটিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খোকনের নাম বিক্রি করে এমনকি পুলিশের দালালির দাপট খাঁটিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এমন কোন কর্মকাণ্ড নাই যা সে করে না। তাকে কিছু বলতে গেলে সে মামলা হামলার হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়ায়। অপরদিকে জেলা প্রশাসক বরাবর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় , সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির বিল উত্তোলন করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অগনিত গ্রাহক। শিলমান্দীর ফারুক এমনই ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শাজাহানের কাছে প্রতারিতরা। এলএ অফিসে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভুরিভুরি। এগুলোর তদন্ত দাবী করছে ভুক্তভোগীরা।
এত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে গেলে, কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে এলো। নাম প্রকাশে একজন ভুক্তভোগী জানান, সুযোগ সন্ধান করে টাউট শাজাহান মল্লিক জমির স্থাপনার মালিকদের নামে মিথ্যা অভিযোগে এলএ মিস কেস করে। তখন বৈধ মালিকরা তার সাথে সমোঝোতা করতে বাধ্য হয়। অযথা হয়রানি এবং বিল পাওয়ার দেরি হওয়ার ভয়ে বৈধ মালিকরা শাজাহান মল্লিকের সাথে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। রফাদফায় দালাল হিসবে কাজ করে তাই শ্যালক মিন্টু। মিন্টু অবশ্য এডিসির ভাই পরিচয়ে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়ায়। এডিসির ভাই পরিচয়ে এলাকায় বেশ দাপুটপ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক ও বিএনপির উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। (চলবে)

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

দালাল শাজাহান মল্লিকের কাছে নরসিংদী এলএ অফিস জিম্মি ।

আপডেট সময়: ০৫:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

নরসিংদীতে সমাজ সেবক নামধারী কথিত বহুরূপী বিএনপি নেতা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ অফিসের দালাল শাজাহান মল্লিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলএ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিল গ্রহিতা নিরীহ জনসাধারণ। জানা যায় , কথিত শাহজাহান মল্লিক জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড। বিগত ফেসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলের ১৬ বছরে বিএনপির সকল নেতাকর্মী মামলা, হামলায় জর্জরিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। ভাগ্যবান শাজাহান মল্লিককে একবারও যেতে হয়নি জেল হাজতে। খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, সে ছিল পুলিশের দালাল বা সোর্স। তার দেয়া ইনফরমেশনে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে র সকল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হতে হয়। যখন বিএনপি নেতারা পালাতক, তখন শাজাহান মল্লিক নতুন গাড়ী কিনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাড়ী কেনার টাকার উৎস নিয়ে।
বিএনপির নেতা শাহজাহান মল্লিক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা নামক মাদক ব্যবসার অভিযোগ। সে কারনে পুলিশ বিভিন্ন সময় রেড দেয়। কিন্তু পুলিশের সোর্স আর টাকার বিনিময়ে সকল কিছু ধামা চাপা দিয়ে দেয়। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের নাম ভাঙিয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে জিম্মি করে রেখেছে। তাকে কেউ কিছু বলতে পারে না কারন সে বিএনপির প্রভাব প্রতিপত্তি খাঁটিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খোকনের নাম বিক্রি করে এমনকি পুলিশের দালালির দাপট খাঁটিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এমন কোন কর্মকাণ্ড নাই যা সে করে না। তাকে কিছু বলতে গেলে সে মামলা হামলার হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়ায়। অপরদিকে জেলা প্রশাসক বরাবর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় , সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির বিল উত্তোলন করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অগনিত গ্রাহক। শিলমান্দীর ফারুক এমনই ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শাজাহানের কাছে প্রতারিতরা। এলএ অফিসে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভুরিভুরি। এগুলোর তদন্ত দাবী করছে ভুক্তভোগীরা।
এত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে গেলে, কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে এলো। নাম প্রকাশে একজন ভুক্তভোগী জানান, সুযোগ সন্ধান করে টাউট শাজাহান মল্লিক জমির স্থাপনার মালিকদের নামে মিথ্যা অভিযোগে এলএ মিস কেস করে। তখন বৈধ মালিকরা তার সাথে সমোঝোতা করতে বাধ্য হয়। অযথা হয়রানি এবং বিল পাওয়ার দেরি হওয়ার ভয়ে বৈধ মালিকরা শাজাহান মল্লিকের সাথে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। রফাদফায় দালাল হিসবে কাজ করে তাই শ্যালক মিন্টু। মিন্টু অবশ্য এডিসির ভাই পরিচয়ে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়ায়। এডিসির ভাই পরিচয়ে এলাকায় বেশ দাপুটপ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক ও বিএনপির উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। (চলবে)