১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

নরসিংদীর পলাশে সার কারখানার রাস্তার নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সার কারখানা ইউরিয়া (জিপিইউএফএফ) এ সার কারখানার রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। গত ৫ই মার্চ ২০২৫ রোজ বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এত স্পষ্ট দেখা যায়, তমা কনস্ট্রাকশন নামক

ঠিকাদারের অধীনে ফুটপাতে বালির তুলনায় সিমেন্ট কম ও পানি দিয়ে না দিয়ে কোনরকম টাইলস বসানো হয়েছে। এর কয়েকদিন পর টাইলস গুলো আলতো ভাবে উঠে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নিম্ন মানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে, কবে পালাবে সে চিন্তা। তারা রাস্তার কাজে দুর্নীতি করে চলে যাবে। ঠিকাদারকে কি টাকা কম দিয়েছে সরকার? আমরা চাই শিডিউল অনুযায়ী যে মানের ইট, বালি, সিমেন্ট রড দিয়ে রাস্তা করার কথা, সেই রকম ভাবে করা হোক। সরকার রাস্তা করবে জনগণের টাকায়, আমরা সাধারণ জনগণ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করবো। এদিকে রাস্তার নির্মাণ করতে না করতেই যদি টাইলস সহজে উঠে বা ভেঙ্গে যায় এর দায়ভার কে নিবে? রাস্তা নির্মাণের কাজটি পলাশ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড খানেপুর হতে সার কারখানার ১, ২ ও ৩ নং গেট হয়ে পলাশ বাস স্ট্যান্ড, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বালিয়া পর্যন্ত সরকারি ভাবে বরাদ্দ হয়। রাস্তাটি প্রায় ৭৫ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই এ অবস্থা। এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, তমা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নিম্ন মানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনলে কেঁচো খুজতে বেরিয়ে আসবে সাপ, বললেন এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা, তমা কনস্ট্রাকশন এর ইঞ্জিনিয়ার ও সাব ঠিকাদার এর কাছ থেকে রাস্তা নির্মাণের শিডিউল চাইলে তারা দিতে রাজি না। সাংবাদিকরা, রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে, তারা উত্তর দিতে রাজি নন। তারা বরং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাদের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের পায়তারা করে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

নরসিংদীর পলাশে সার কারখানার রাস্তার নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময়: ০৪:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সার কারখানা ইউরিয়া (জিপিইউএফএফ) এ সার কারখানার রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। গত ৫ই মার্চ ২০২৫ রোজ বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এত স্পষ্ট দেখা যায়, তমা কনস্ট্রাকশন নামক

ঠিকাদারের অধীনে ফুটপাতে বালির তুলনায় সিমেন্ট কম ও পানি দিয়ে না দিয়ে কোনরকম টাইলস বসানো হয়েছে। এর কয়েকদিন পর টাইলস গুলো আলতো ভাবে উঠে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নিম্ন মানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে, কবে পালাবে সে চিন্তা। তারা রাস্তার কাজে দুর্নীতি করে চলে যাবে। ঠিকাদারকে কি টাকা কম দিয়েছে সরকার? আমরা চাই শিডিউল অনুযায়ী যে মানের ইট, বালি, সিমেন্ট রড দিয়ে রাস্তা করার কথা, সেই রকম ভাবে করা হোক। সরকার রাস্তা করবে জনগণের টাকায়, আমরা সাধারণ জনগণ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করবো। এদিকে রাস্তার নির্মাণ করতে না করতেই যদি টাইলস সহজে উঠে বা ভেঙ্গে যায় এর দায়ভার কে নিবে? রাস্তা নির্মাণের কাজটি পলাশ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড খানেপুর হতে সার কারখানার ১, ২ ও ৩ নং গেট হয়ে পলাশ বাস স্ট্যান্ড, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বালিয়া পর্যন্ত সরকারি ভাবে বরাদ্দ হয়। রাস্তাটি প্রায় ৭৫ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই এ অবস্থা। এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, তমা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নিম্ন মানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনলে কেঁচো খুজতে বেরিয়ে আসবে সাপ, বললেন এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা, তমা কনস্ট্রাকশন এর ইঞ্জিনিয়ার ও সাব ঠিকাদার এর কাছ থেকে রাস্তা নির্মাণের শিডিউল চাইলে তারা দিতে রাজি না। সাংবাদিকরা, রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে, তারা উত্তর দিতে রাজি নন। তারা বরং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাদের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের পায়তারা করে।