১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৪০

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হন, এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছিল শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস, অন্যদিকে ঢাকার দিক থেকে ছেড়ে আসা আরপি পরিবহনের একটি বাস উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে উভয় বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪০ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সহায়তা প্রদান করেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্যামলী পরিবহন বাসের এক যাত্রী হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেছেন যে, বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি বারবার নিষেধ করলেও চালক তা শোনেননি, যার ফলস্বরূপ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপর বাসের যাত্রী মনির হোসেন জানান, তিনি চালকের পাশে বসে ছিলেন এবং চালকও বেপরোয়া গতি চালাচ্ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ওই চালক এর আগেও সিরাজগঞ্জ এলাকায় এক্সিডেন্টে জড়িয়েছিলেন।

এদিকে, দুটি বাসের চালক ও সহকারী দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ও উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়, তবে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন যাত্রীরা।

 

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৪০

আপডেট সময়: ০৫:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হন, এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছিল শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস, অন্যদিকে ঢাকার দিক থেকে ছেড়ে আসা আরপি পরিবহনের একটি বাস উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে উভয় বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪০ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সহায়তা প্রদান করেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্যামলী পরিবহন বাসের এক যাত্রী হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেছেন যে, বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি বারবার নিষেধ করলেও চালক তা শোনেননি, যার ফলস্বরূপ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপর বাসের যাত্রী মনির হোসেন জানান, তিনি চালকের পাশে বসে ছিলেন এবং চালকও বেপরোয়া গতি চালাচ্ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ওই চালক এর আগেও সিরাজগঞ্জ এলাকায় এক্সিডেন্টে জড়িয়েছিলেন।

এদিকে, দুটি বাসের চালক ও সহকারী দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ও উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়, তবে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন যাত্রীরা।