০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

কপিলমুনিতে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মকতবের শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ

পাইকগাছার কপিলমুনিতে শিশুকে যৌন নিপীড়ণ করার অভিযোগে মকতবের হুজুর
মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫)কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। কথিত ওই মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫) কপিলমুনি ইউপির কাশিমনগর গ্রামের মৃত তফেল উদ্দীনের ছেলে।এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাশিমনগরে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাসিমনগর সরদার পাড়া জামে মসজিদের ইসলামী ফাউন্ডেশনের মকতবের হুজুর মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫) মকতবে ছেলে মেয়েদের পাঠদান করান। ঘটনার দিন অন্যান্য শিশুদেরব ছুটিন দিয়ে হাতের লেখা শিখানোর জন্য ৯ বছরের শিশু ভিকটিমকে রেখে দেন। ভিকটিম জানান, তাকে নানা ভাবে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। তার ভাষায় হুজুর ছোট্ট শিশুর সাথে যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে, পরিবারের লোকেরা থানায় যেয়ে মামলা করেন। এদিকে হুজুরের কাছে জিজ্ঞাসা বাদের সময় তিনি বলেন, আমি জামায়াতের কর্মী ও রোকন প্রার্থী। কপিলমুনি ইউনিয়ন জামায়তের কমিটিতে আছি। জামায়তের কপিলমুনি ইউনিয়ন আমির রবিউল ইসলাম বলেন, সে জামায়তের কোন পদে নেই। সে জামায়াতের লোকদের সাথে মিশে থাকে। এজন্য জামায়ত সম্পর্কে তার ধারনা আছে। থানা অফিসার ইনচার্জ সবজেল হোসেন জানান,থানায় মামলা হয়েছে। আসামীকে আইনে প্রক্রিয়ায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

কপিলমুনিতে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মকতবের শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ

আপডেট সময়: ০৩:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

পাইকগাছার কপিলমুনিতে শিশুকে যৌন নিপীড়ণ করার অভিযোগে মকতবের হুজুর
মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫)কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। কথিত ওই মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫) কপিলমুনি ইউপির কাশিমনগর গ্রামের মৃত তফেল উদ্দীনের ছেলে।এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাশিমনগরে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাসিমনগর সরদার পাড়া জামে মসজিদের ইসলামী ফাউন্ডেশনের মকতবের হুজুর মাওলানা আবুল কাসেম শেখ (৫৫) মকতবে ছেলে মেয়েদের পাঠদান করান। ঘটনার দিন অন্যান্য শিশুদেরব ছুটিন দিয়ে হাতের লেখা শিখানোর জন্য ৯ বছরের শিশু ভিকটিমকে রেখে দেন। ভিকটিম জানান, তাকে নানা ভাবে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। তার ভাষায় হুজুর ছোট্ট শিশুর সাথে যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে, পরিবারের লোকেরা থানায় যেয়ে মামলা করেন। এদিকে হুজুরের কাছে জিজ্ঞাসা বাদের সময় তিনি বলেন, আমি জামায়াতের কর্মী ও রোকন প্রার্থী। কপিলমুনি ইউনিয়ন জামায়তের কমিটিতে আছি। জামায়তের কপিলমুনি ইউনিয়ন আমির রবিউল ইসলাম বলেন, সে জামায়তের কোন পদে নেই। সে জামায়াতের লোকদের সাথে মিশে থাকে। এজন্য জামায়ত সম্পর্কে তার ধারনা আছে। থানা অফিসার ইনচার্জ সবজেল হোসেন জানান,থানায় মামলা হয়েছে। আসামীকে আইনে প্রক্রিয়ায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।