১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

হাজার বছরের ভালবাসার গল্প। লেখক:- হুমায়ুন কবির।

আমার জীবনে যখন তোমার আবির্ভাব ঘটে, সময়টা ছিলো ২০২০ সালের মার্চ মাস। তোমাকে একান্তই নিজের মনে করে পেলাম ২০২০ সালের (১২ ডিসেম্বর) মাসে। তুমি সেই অধিকারটা দিয়েছিলে, তুমি আমাকে এমন স্পেশাল ফিল করাইছো মনে হয়েছে তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। তাও আমি যদি ছেড়ে যাওয়ার কথা বলতান, হারাইয়া যাওয়ার কথা বলতাম, তখন তুমি বলতে আমাকে ছাড়া থাকতে তোমার কষ্ট হবে, আমাকে ছাড়া তুমি থাকতে পারবেন না। বলেছিলে,আমি যেনো থেকে যায় সারাজীবন তোমার জীবনে, তার জন্যও তুমি কত শত হাজার বার পবিত্র কোরআন নিয়ে শপথ করেছিলে তুমিও কোন দিন আমাকে ছেড়ে যাবেনা। এমন কি পৃথিবীর এমন কোন কথা নাই যেটা শপথ করে বলনাই। তার পরও তুমি বলতে কভু যেনো হারিয়ে না যাই। আমার মনে হয়েছিলো আমি যে প্রিয় মানুষটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম, হয়তো তাকেই পেয়ে গেলাম। জানো জান? তোমাকে পাওয়ার পর তোমাকে আমি যতোটা যত্ন করে ভালোবেসেছি, ততোটা যত্ন আমি আমার নিজেকেও করিনি। নিজের কথা না হয় বাদই দিলাম। সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিলাম তোমার জন্য, সবকিছু উজাড় করে দিয়ে তোমাকে ভালোবাসলাম। তুমি চাইলেই পারতে ছোট্ট একটা ঘরে আমার সাথে একটা সংসার করতে। তোমার ওপর সবকিছু আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। আফসোস! তোমার ও সময় হইলো না, আর আমারও অপেক্ষা ফুরাইলো নাহ! তোমার জন্য আমি পুরো পৃথিবীর কাছে লড়াই করতে রাজি ছিলাম, আর তুমি.???? জানো তুমি আমার সেই প্রিয় মানুষ যাকে আমি অসম্ভব ভালোবেসেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি অসম্ভব কেঁদেছি। দিন রাত সমান হয়ে গেছে না ঘুমাতে ঘুমাতে। তুমি আমার সেই মানুষ ছিলে যাকে আমি প্রত্যেকটা মোনাজাতে চেয়েছি। তুমি আমার সেই ভালোবাসার মানুষ, যাকে আমি এতো করে চাইলাম খোদার দরবারে। এত করে চেয়েও তোমাকে আমি পেলাম না। তুমি কখনো বুঝতে পারলে না কতোটা আকুলতা নিয়ে তোমাকে চেয়েছি। তুমি হয়তো কখনো অনূভব করতে পারবে না। কতোটা নির্মম ভাবে নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি। কিন্তু আমার পুরো পৃথিবী জুড়ে ছিলে শুধু তুমি। তোমার চলে যাওয়াতে কত শত যন্ত্রণা উপহার দিয়েছি আমি আমার শরীল কে।চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছি কত শত রাত। বুকের মধ্যে কষ্টগুলো চাপা রেখে রেখে বুকটা ছিদ্র হওয়ার উপক্রমও হয়েছে আমার। আফসোস, তুমি যদি একটুকুও বুঝতে,, তবে যাই হোক তোমাকে আমি ভালোবেসে যাবো সেই প্রথম দিনের মতো সারাজীবন। তোমার মনে আছে, আমাদের দেখা করার প্রতিটা দিনের কথা? তুমি জানো, রাতে যখন আমি কান্না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি, হঠাৎ ঘুম ভাঙলে তোমার কথা যখন মনে পড়ে তখন মোবাইলটা চেক করে দেখি কোনো মেসেজ বা কল নেই। তখন আরও হাহাকার লাগে। মনে হয় কই গেলো এত খোঁজ খবর নেওয়া মানুষটা। এসব মনে হইলে বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠে। বিশ্বাস করো তখন আর আমি ঘুমাতে পারি না। চোখের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়তেই থাকে।কত রাত ঠিক মতো ঘুমাই নাই নিজেও জানি না, কত দিন ভালো করে খাই নাই তাও জানি না, তুমি কি জানো,,চোখের পানির সাথে খাবার খাওয়ার তৃপ্তি কতটুকু? সবাই বলে তোমাকে ভুলে যেতে, আসলেই কি সম্ভব,, বোকা তুমি ,, তুমি আমার সাথে যোগাযোগ না করে দুরত্ব বাড়াতে পারছো ঠিকই, কিন্তু মন থেকে তো মুছতে পার নাই। মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নিতে এখনো অনেক কষ্ট হয়, এটা ভাবলে যে,, তুমি আর আমার নেই।।

✍️✍️অন্তরা কবির কাহিনী নিয়ে সংকলন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

নওগাঁয় বন বিভাগের গাছ মিলেমিশে বিক্রি করলেন নিষিদ্ধ আ.লীগ-বিএনপি কর্মী ও ইউপি সদস্য, প্রশাসন নিরব

হাজার বছরের ভালবাসার গল্প। লেখক:- হুমায়ুন কবির।

আপডেট সময়: ০৪:৩২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

আমার জীবনে যখন তোমার আবির্ভাব ঘটে, সময়টা ছিলো ২০২০ সালের মার্চ মাস। তোমাকে একান্তই নিজের মনে করে পেলাম ২০২০ সালের (১২ ডিসেম্বর) মাসে। তুমি সেই অধিকারটা দিয়েছিলে, তুমি আমাকে এমন স্পেশাল ফিল করাইছো মনে হয়েছে তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। তাও আমি যদি ছেড়ে যাওয়ার কথা বলতান, হারাইয়া যাওয়ার কথা বলতাম, তখন তুমি বলতে আমাকে ছাড়া থাকতে তোমার কষ্ট হবে, আমাকে ছাড়া তুমি থাকতে পারবেন না। বলেছিলে,আমি যেনো থেকে যায় সারাজীবন তোমার জীবনে, তার জন্যও তুমি কত শত হাজার বার পবিত্র কোরআন নিয়ে শপথ করেছিলে তুমিও কোন দিন আমাকে ছেড়ে যাবেনা। এমন কি পৃথিবীর এমন কোন কথা নাই যেটা শপথ করে বলনাই। তার পরও তুমি বলতে কভু যেনো হারিয়ে না যাই। আমার মনে হয়েছিলো আমি যে প্রিয় মানুষটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম, হয়তো তাকেই পেয়ে গেলাম। জানো জান? তোমাকে পাওয়ার পর তোমাকে আমি যতোটা যত্ন করে ভালোবেসেছি, ততোটা যত্ন আমি আমার নিজেকেও করিনি। নিজের কথা না হয় বাদই দিলাম। সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিলাম তোমার জন্য, সবকিছু উজাড় করে দিয়ে তোমাকে ভালোবাসলাম। তুমি চাইলেই পারতে ছোট্ট একটা ঘরে আমার সাথে একটা সংসার করতে। তোমার ওপর সবকিছু আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। আফসোস! তোমার ও সময় হইলো না, আর আমারও অপেক্ষা ফুরাইলো নাহ! তোমার জন্য আমি পুরো পৃথিবীর কাছে লড়াই করতে রাজি ছিলাম, আর তুমি.???? জানো তুমি আমার সেই প্রিয় মানুষ যাকে আমি অসম্ভব ভালোবেসেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি অসম্ভব কেঁদেছি। দিন রাত সমান হয়ে গেছে না ঘুমাতে ঘুমাতে। তুমি আমার সেই মানুষ ছিলে যাকে আমি প্রত্যেকটা মোনাজাতে চেয়েছি। তুমি আমার সেই ভালোবাসার মানুষ, যাকে আমি এতো করে চাইলাম খোদার দরবারে। এত করে চেয়েও তোমাকে আমি পেলাম না। তুমি কখনো বুঝতে পারলে না কতোটা আকুলতা নিয়ে তোমাকে চেয়েছি। তুমি হয়তো কখনো অনূভব করতে পারবে না। কতোটা নির্মম ভাবে নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি। কিন্তু আমার পুরো পৃথিবী জুড়ে ছিলে শুধু তুমি। তোমার চলে যাওয়াতে কত শত যন্ত্রণা উপহার দিয়েছি আমি আমার শরীল কে।চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছি কত শত রাত। বুকের মধ্যে কষ্টগুলো চাপা রেখে রেখে বুকটা ছিদ্র হওয়ার উপক্রমও হয়েছে আমার। আফসোস, তুমি যদি একটুকুও বুঝতে,, তবে যাই হোক তোমাকে আমি ভালোবেসে যাবো সেই প্রথম দিনের মতো সারাজীবন। তোমার মনে আছে, আমাদের দেখা করার প্রতিটা দিনের কথা? তুমি জানো, রাতে যখন আমি কান্না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি, হঠাৎ ঘুম ভাঙলে তোমার কথা যখন মনে পড়ে তখন মোবাইলটা চেক করে দেখি কোনো মেসেজ বা কল নেই। তখন আরও হাহাকার লাগে। মনে হয় কই গেলো এত খোঁজ খবর নেওয়া মানুষটা। এসব মনে হইলে বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠে। বিশ্বাস করো তখন আর আমি ঘুমাতে পারি না। চোখের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়তেই থাকে।কত রাত ঠিক মতো ঘুমাই নাই নিজেও জানি না, কত দিন ভালো করে খাই নাই তাও জানি না, তুমি কি জানো,,চোখের পানির সাথে খাবার খাওয়ার তৃপ্তি কতটুকু? সবাই বলে তোমাকে ভুলে যেতে, আসলেই কি সম্ভব,, বোকা তুমি ,, তুমি আমার সাথে যোগাযোগ না করে দুরত্ব বাড়াতে পারছো ঠিকই, কিন্তু মন থেকে তো মুছতে পার নাই। মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নিতে এখনো অনেক কষ্ট হয়, এটা ভাবলে যে,, তুমি আর আমার নেই।।

✍️✍️অন্তরা কবির কাহিনী নিয়ে সংকলন।