গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর সদর উপজেলার চরবাবনা গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে ১লা নভেম্বর ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোঃরুবেল রানা। পিতা মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং মাতা সুরেজা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।রুবেল রানার আরও ২ ভাই ও এক বোন রয়েছেন।
ছোট থেকেই রুবেল রানা অনেক মেধাবী ছিলেন। তিনি কামাররেরচর পাবলিক হাই স্কুল থেকে ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১২ সালে ময়মনসিংহ আইডিয়াল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এরপর দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃষি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
তার প্রথম কর্মজীবন শুরু হয় ৩০ অক্টোবর ২০২২ সালে সিনিয়র অফিসার সোনালী ব্যাংক ঝিনাইগাতী,শেরপুর। প্রায় ২ বছর ৪ মাস কৃতিত্বের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
তিনি সম্মান শেষ বর্ষে থাকাকালিন সময়ে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। দিন রাত অকাতরে পরিশ্রম করে অবশেষে স্বপ্ন পুরণ করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মো: রুবেল রানা সকালে কৃষিক্ষেতে কাজ করে, তারপর গ্রামের স্কুল কামারের চর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে যেত।
তিনি প্রতিদিন বিকালে ও সাপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও সোমবার কামারেরচর বাজারে বাবার সাথে মুদি দোকান করতেন রাত ১১ টা পর্যন্ত।
তিনি শেরপুরের গর্ব। রুবেল রানা তার ২য় বিসিএস ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষাতেই বিসিএস (টেকনিক্যাল) ক্যাডার কৃষিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
বর্তমানে তিনি ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিসেবে,উপজেলা কৃষি অফিস, কুলাউড়া মৌলভীবাজার যোগদান করেন।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রুবেল রানা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে সাহায্য ও সহযোগিতা করেন।
৭ অক্টোবর ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ও সংকটকালে তার সাধ্যমতো আস- সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান।