
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের খাজনাগড়া গ্রামের প্রবাসফেরত যুবক ফরিদুল ইসলাম ফরহাদ ড্রাগন ফল চাষে নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন সফল কৃষক হিসেবে। শুধু নিজের ভাগ্য পরিবর্তনই নয়, তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার অনেক তরুণের অনুপ্রেরণার উৎস।
বিদেশে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পর দেশে ফিরে কিছু ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন ফরহাদ। তিনি জানান, “আমি মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ছিলাম। দেশে এসে দেখি আমাদের কৃষির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমার মামা কৃষি নিয়ে কাজ করেন। তাঁর পরামর্শে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হই।”
এরপরই তিন একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের পাশাপাশি নিজের জমানো প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। কয়েক হাজার ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। আধুনিক পদ্ধতিতে খুঁটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাগান তৈরি করা হয়। প্রতিটি গাছে নিয়মিত পানি, জৈব সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
ফরিদুল ইসলাম ফরহাদ জানান, তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে আত্মীয়ের পরামর্শে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হন। শুরুতে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করেন এবং নিজস্ব জমানো অর্থ মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগে বাগান গড়েন।
খাজনাগড়া গ্রামে ফরহাদের ড্রাগন বাগান দেখতে প্রতিদিনই আসছেন আশেপাশের এলাকার তরুণরা। কেউ কেউ ইতোমধ্যে নিজস্ব জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। ফরিদুল তাদের পরামর্শ ও প্রাথমিক চারা সংগ্রহেও সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি প্রশিক্ষণ, ঋণ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও সহায়তা করে, তাহলে ড্রাগন চাষের মাধ্যমে দেশের অনেক তরুণ কৃষির প্রতি আগ্রহী হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।”