
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে “ফরিদপুর সদরপুরে জমি-জমার জের ধরে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খবির সরদার, শিহাব সরদার, শরীফ সরদার ও শহীদ মেম্বার।
তারা জানান, উক্ত সংবাদটি একতরফা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
তারা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকলেও তা স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছিল। ঘটনার দিনও একটি বৈঠকে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও তা নির্ধারিত তারিখে মীমাংসার আশ্বাসে শেষ হয়।
তাদের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে এবং মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তারা দাবি করেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে—যেমন খবির সরদার ও শহীদ মেম্বার—তারা কেউই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ‘অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়া’ সংক্রান্ত অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও প্রমাণহীন।
এ প্রসঙ্গে শহীদ মেম্বার বলেন, “আমি একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব সময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কাজ করেছি। ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, অথচ আমার নাম জড়ানো হয়েছে—এটি খুবই দুঃখজনক।”
খবির সরদার বলেন, “এই ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আমাদের ফাঁসিয়ে প্রতিপক্ষ বেআইনিভাবে জমির দখল নিতে চায়। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমার ছেলে মারামারিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সাবেক সেনা সদস্য হারুন সরদারের মধ্যস্থতায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে দুই পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছে এবং উভয় পক্ষ অভিযোগ প্রত্যাহার করে।
সাবেক সেনা সদস্য হারুন সরদার বলেন, “প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মনগড়া। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। দুই পক্ষের কিছু তরুণ বাত-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, একপর্যায়ে মারামারি হয়। এতে দুই পক্ষের দুইজন আহত হন। খবির সরদার ও শহীদ মেম্বার সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমি পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে বিরোধের মীমাংসা করি।”
প্রতিবাদকারীরা প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।