
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৮ হাজার ১৬টি ভোট পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের হিসাবে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে ভোট গণনা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
ভোটার সংখ্যা
নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে ছাত্র হলের ভোটার সংখ্যা ছিল ৬,০০০ এর বেশি এবং ছাত্রী হলের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫,৯০০। বিস্তারিত হলো—
- ছাত্র হলসমূহ:
আল বেরুনী হল ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হল ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হল ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হল ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হল ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হল ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হল ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হল ৯৪৭ জন। - ছাত্রী হলসমূহ:
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হল ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হল ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হল ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হল ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হল ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল ৫৭১ জন, রোকেয়া হল ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হল ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হল ৯৮৩ জন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণ
এবারের নির্বাচনে মোট ২৫টি পদে ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বামপন্থী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের সমর্থিত মোট ৮টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।
তবে ভোটগ্রহণ চলাকালে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার বিকেলে মওলানা ভাসানী হলের গেস্ট রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। দেড় হাজার পুলিশ সদস্য, সাত প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্লাটুন আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হয়।