০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময়: ০২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 12

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে করে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস জানান, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে বদ্ধপরিকর। এ সময় তিনি গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার জন্য ব্রেন্ডেন লিঞ্চকে ধন্যবাদ জানান এবং এটিকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, কৃষিপণ্য (তুলা, সয়াবিন) আমদানি, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, এলপিজি আমদানি, বেসামরিক বিমান ক্রয়, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের স্বার্থের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে। তাই চলমান আলোচনার খসড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা বাংলাদেশ লেবার অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

অন্যদিকে, ব্রেন্ডেন লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, এ উদ্যোগে দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি সময়মতো শুল্ক চুক্তি ও আমদানি প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

যশোর ডিসি’কে৮ দফা দাবিতে ভৈরব নদ নদী সংস্কার আন্দোলনের স্মারকলিপি

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময়: ০২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে করে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস জানান, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে বদ্ধপরিকর। এ সময় তিনি গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার জন্য ব্রেন্ডেন লিঞ্চকে ধন্যবাদ জানান এবং এটিকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, কৃষিপণ্য (তুলা, সয়াবিন) আমদানি, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, এলপিজি আমদানি, বেসামরিক বিমান ক্রয়, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের স্বার্থের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে। তাই চলমান আলোচনার খসড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা বাংলাদেশ লেবার অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ইউএসটিআরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক এমিলি অ্যাশবি, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

অন্যদিকে, ব্রেন্ডেন লিঞ্চ বাংলাদেশের গঠনমূলক মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, এ উদ্যোগে দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি সময়মতো শুল্ক চুক্তি ও আমদানি প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।