প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:৫৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ২:৩৫ পি.এম
এলডিসি থেকে উত্তরণে ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান তারেক রহমানের
জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উত্তরণকে মাইলফলক আখ্যা দিলেও এর সঙ্গে আসা ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, “উত্তরণ কেবল একটি মাইলফলক নয়, বরং এটি এমন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে যা আমাদের সততার সঙ্গে স্বীকার করতে হবে। এগুলো সরাসরি আমাদের অর্থনীতি ও জনগণকে প্রভাবিত করবে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া এগোলে দেশের অর্থনীতি ও জনগণ চাপের মুখে পড়তে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঝুঁকি হলো—
- বাণিজ্য সুবিধা হারালে পোশাক খাতের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে।
- স্বল্পসুদে ঋণ ও সাহায্যের প্রবাহ কমে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ঋণের চাপে থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে।
- ডব্লিউটিওর বিশেষ সুবিধা হারালে, যেমন ভর্তুকি বা ওষুধের পেটেন্ট ছাড়, ওষুধের দাম বাড়তে পারে।
- একটি ক্ষেত্রের ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলতে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে—
- পোশাক খাতের বাইরে আইসিটি, ওষুধ ও মূল্য সংযোজন শিল্পে রপ্তানি বৈচিত্র্য আনা।
- ঋণের ফাঁদ এড়াতে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা।
- প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদনশীলতা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও আধুনিক অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ানো।
- রূপান্তরকে সমর্থন করতে বাণিজ্য সুবিধা ও সবুজ অর্থায়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন।
তিনি আরও বলেন, “দেশের শ্রমিক, কৃষক ও তরুণদের ঝুঁকির মুখে ফেলে রাখা যাবে না। এলডিসি থেকে উত্তরণের সুফল ভোগ করতে হলে নাগরিকদের জন্য বাস্তব অগ্রগতি ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত