
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সফরকালে তিনি একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও বিশেষ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ‘সামাজিক ব্যবসা, যুব ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বৈশ্বিক সামাজিক ব্যবসা কমিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করা। এ ছাড়া তিনি এসডিজি ডিনার ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন।
২৬ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএতে ভাষণ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে (২৩-২৭ ও ২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা তাদের অগ্রাধিকার ও অবস্থান তুলে ধরবেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।
এ ছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আয়োজন করবে, যেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেবে।
রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্তি
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এ বছর জাতিসংঘ অধিবেশনে সরকারি প্রতিনিধি দলে রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে জাতীয় ঐক্যের বার্তা পৌঁছে যাবে এবং রাজনৈতিক মতপার্থক্য অতিক্রম করে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে। এর আগে বৈশ্বিক সংকটের সময়ে এ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইউএনজিএ-পরবর্তী রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্লেনারি অধিবেশনে নেতাদের উপস্থিতি নীতিগত ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বৈঠক
সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও উন্নয়ন কৌশলের জন্য মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।