
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। পাঁচ দিনব্যাপী এই মহোৎসব ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৮৯৪টি। কেবল ঢাকা মহানগরীতেই ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে।
পূজাকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। টানা চার দিনের সরকারি ছুটি এবার পূজার আনন্দকে বাড়িয়ে তুলেছে। আগামী বুধবার নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটি, বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি এবং শুক্রবার-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চার দিনের ছুটি উপভোগ করবে দেশবাসী।
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট জানিয়েছে, দুর্গাপূজার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। পূজা উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হবে।
লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবীর আগমন হবে গজে (হাতি), যা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তবে দেবীর প্রস্থান হবে দোলায় (পালকি), যা শাস্ত্র মতে অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনসহ রাজধানীর বিভিন্ন মন্দিরে আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক আয়োজন, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা ও বিজয়া শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিককে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।