০৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ-ভুটান এফটিএ স্বাক্ষরে ভুটান প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে শুক্রবার (নিউইয়র্ক সময়) বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি)’কে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে পারে।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পর্যটন উন্নয়ন, জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কাজে লাগানো, ওষুধশিল্পে বাংলাদেশি বিনিয়োগ, এবং ফাইবার অপটিক সংযোগ বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। তোবগে জানান, ভুটান ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ নেবে।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ভুটান প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শ্রদ্ধাভরে ‘মাই প্রফেসর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশার প্রশংসা করেন।

শেষে অধ্যাপক ইউনূস ভুটান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, তিনি সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে ঢাকা সফর করবেন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

ভোটটা ধানের শীষে দিয়েন! আপনাদের কাছে দাওয়াত দিচ্ছি!!—-সাবেক মেয়র মতিউর রহমান!

বাংলাদেশ-ভুটান এফটিএ স্বাক্ষরে ভুটান প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ

আপডেট সময়: ০৫:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে শুক্রবার (নিউইয়র্ক সময়) বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি)’কে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে পারে।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পর্যটন উন্নয়ন, জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কাজে লাগানো, ওষুধশিল্পে বাংলাদেশি বিনিয়োগ, এবং ফাইবার অপটিক সংযোগ বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। তোবগে জানান, ভুটান ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ নেবে।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ভুটান প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শ্রদ্ধাভরে ‘মাই প্রফেসর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশার প্রশংসা করেন।

শেষে অধ্যাপক ইউনূস ভুটান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, তিনি সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে ঢাকা সফর করবেন।