০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ঘোড়াঘাটে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ৬৬ পদ শূণ্য

ফাহিম হোসেন রিজু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার ৬৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ২৬টি ও সহকারী শিক্ষক পদে ৪০টি পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে বিদ্যালয় গুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।

উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকটে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে দায়সারা ভাবে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুমোদিত ৩৪৬ টি পদের মধ্যে ৪০ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। আর এই শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা কোচিং নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

একাধিক প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ৬৬ টি পদ শূন্য থাকায় অনেক শিক্ষক নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫-৬ ঘন্টা ক্লাস নেই। এছাড়াও বিদ্যালয় বহির্ভুত রাষ্ট্রীয় কাজে ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, শিশু জরিপসহ অফিসিয়াল নানা কাজ করতে হয়। আমাদের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার পাশপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে দিন দাপ্তরিক কাজে অফিসে ছুটতে হয় সেদিন ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল জানান, শুন্য পদ থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। আর সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য পদের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান, সংশি¬ষ্ট মন্ত্রালয়ে শূন্যপদের বিপরীতে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ক্যাম্পেইন 

ঘোড়াঘাটে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ৬৬ পদ শূণ্য

আপডেট সময়: ০৫:৪০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ফাহিম হোসেন রিজু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার ৬৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ২৬টি ও সহকারী শিক্ষক পদে ৪০টি পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে বিদ্যালয় গুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।

উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকটে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে দায়সারা ভাবে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুমোদিত ৩৪৬ টি পদের মধ্যে ৪০ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। আর এই শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা কোচিং নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

একাধিক প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ৬৬ টি পদ শূন্য থাকায় অনেক শিক্ষক নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫-৬ ঘন্টা ক্লাস নেই। এছাড়াও বিদ্যালয় বহির্ভুত রাষ্ট্রীয় কাজে ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, শিশু জরিপসহ অফিসিয়াল নানা কাজ করতে হয়। আমাদের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার পাশপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে দিন দাপ্তরিক কাজে অফিসে ছুটতে হয় সেদিন ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল জানান, শুন্য পদ থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। আর সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য পদের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান, সংশি¬ষ্ট মন্ত্রালয়ে শূন্যপদের বিপরীতে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।