স্টাফ রিপোর্টারঃ 
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার বসন্তপুর গ্রামে অবস্থিত নিহাজ জুট স্পিনার লিমিটেড পরিদর্শন করেছেন ডেসটিনি-২০০০ লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন ও তার পুত্র। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন নিহাজ জুট স্পিনার লিঃ-এর প্রস্তাবিত ও বর্তমান বোর্ড অফ চেয়ারম্যান খুরশিদা বানু (অন্তরা), মোঃ ফরহাদুল ইসলাম ডিরেক্টর নিহাজ জুট স্পিনার লিঃ ও ডেস্টিনি সোশ্যাল মিডিয়া ফোরাম ব্লু ফরিদপুর বিভাগের আহ্বায়ক, মোঃ নাসির বিভাগীয় সদস্য সচিব, সহ প্রতিষ্ঠানের তিন পরিচালক মোঃ কাজল শাহা, বেলাল হোসেন ও নাসির উদ্দিন।
এছাড়াও ডেস্টিনি সোশ্যাল মিডিয়া ফোরাম ব্লু-এর বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন— মোশাররফ হোসেন- ডেসটিনি মাল্টিপারপাস জয়েন সেকরেটারি, মোঃ আরিফ (কেন্দ্রীয় লিডার), ঢালী আব্দুর সালাম, মোঃ জয়নাল মিনা, সুভন সাহা (শরীয়তপুর), মোঃ খায়ের মুন্সি (ফরিদপুর), মোঃ সামিউল ইসলাম সামি (ফরিদপুর বিভাগ), মোঃ রফিকুল আলম (ফরিদপুর বিভাগ), মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর (ফরিদপুর বিভাগ ও গোপালগঞ্জ আহ্বায়ক), মোঃ কামাল হোসেন পলাশ (নগরকান্দা), মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান রনি (নগরকান্দা), মোঃ নুরুজ্জামান রনি (নগরকান্দা) ও মোঃ রাসেল তালুকদার (নগরকান্দা)।
ডেসটিনির ফরহাদের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মিলের বিভিন্ন উৎপাদন ধাপ, যন্ত্রপাতির অবস্থা এবং সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন। উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
পরিদর্শনে জানা যায়, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে নিহাজ জুট স্পিনার লিমিটেডের ব্যাপক সম্পদ ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ে মিল বন্ধ থাকায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস ও ডেসটিনির সদস্য—যারা মূলত এ সম্পদের প্রকৃত মালিক—তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসংস্থান নষ্ট হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতিতেও প্রতিষ্ঠানটি অবদান রাখতে পারেনি।
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর ডেসটিনি-২০০০ লিঃ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন মিলের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন নিহাজ জুট স্পিনার লিঃ-এর চেয়ারম্যান খুরশিদা বানু (অন্তরা), ডিরেক্টর মোঃ ফরহাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর। তিনি আশ্বাস দেন, যত দ্রুত সম্ভব মিলের অবকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়ন করে উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে। একই সঙ্গে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ-এর ক্রেতা ও শেয়ারহোল্ডারদের ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও বলেন, “মিল পুনরায় চালু হলে শুধু কর্মসংস্থানই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও বিশেষ অবদান রাখবে।”
