০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

সদরপুরে মর্মান্তিক ঘটনা: শিশুকে হত্যা করে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সদরপুরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ ও তার অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন— হুজাইফা (৫) ও তার মা সুমাইয়া আক্তার (২২)। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং তার প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর।

২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে পূর্বকান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে রমজান মুন্সির বিয়ে হয়। হুজাইফা ছিল তাদের একমাত্র সন্তান। রমজান কয়েক বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং আবার বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

পারিবারিক দাবি, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোই ছিল। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাম্পত্য জীবনে রমজান ও সুমাইয়ার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ শোনা যেত।

ঘটনার সময় নিহতের শ্বশুর মোতালেব মুন্সি বাড়ির পাশে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। চিৎকার শুনে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, “শিশুটিকে গলাকাটা অবস্থায় ঘরের ভেতরে পাওয়া গেছে। আর তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, “স্বামী রমজান বর্তমানে ফরিদপুরে অবস্থান করছেন। তবে তার সঙ্গে এখনও কথা বলা যায়নি। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।”

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

ভোটটা ধানের শীষে দিয়েন! আপনাদের কাছে দাওয়াত দিচ্ছি!!—-সাবেক মেয়র মতিউর রহমান!

সদরপুরে মর্মান্তিক ঘটনা: শিশুকে হত্যা করে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যা

আপডেট সময়: ০৬:২৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ ও তার অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন— হুজাইফা (৫) ও তার মা সুমাইয়া আক্তার (২২)। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং তার প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর।

২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে পূর্বকান্দি গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে রমজান মুন্সির বিয়ে হয়। হুজাইফা ছিল তাদের একমাত্র সন্তান। রমজান কয়েক বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে ফিরে আসেন এবং আবার বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

পারিবারিক দাবি, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোই ছিল। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাম্পত্য জীবনে রমজান ও সুমাইয়ার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ শোনা যেত।

ঘটনার সময় নিহতের শ্বশুর মোতালেব মুন্সি বাড়ির পাশে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। চিৎকার শুনে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, “শিশুটিকে গলাকাটা অবস্থায় ঘরের ভেতরে পাওয়া গেছে। আর তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, “স্বামী রমজান বর্তমানে ফরিদপুরে অবস্থান করছেন। তবে তার সঙ্গে এখনও কথা বলা যায়নি। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।”