০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ভূবনেশ্বর নদ দখলমুক্তে সদরপুরে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অভিযান

মোঃ ওয়াজেদ আলী, ফরিদপুরঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতবর্ষী ভূবনেশ্বর নদীর উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন।

কৃষ্ণপুর বাজারসংলগ্ন মরহুম আবদুস সামাদ মুন্সী এতিমখানা ও মাদরাসার সামনে অবৈধভাবে নির্মিত একটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ইশারত মুন্সী নদীর গতিপথ বন্ধ করে পাকা খুঁটি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

অভিযানের সময় ইশারত মুন্সী বলেন, “মাদরাসার কাজের মালামাল রাখার জন্য একটি অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছিলাম, কিন্তু প্রশাসন তা ভেঙে দিয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন,

“নদী দখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। নদী আমাদের প্রাণ, তাই দখলমুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে।”

অভিযানকালে সরকারি সার্ভেয়ার, ভূমি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, আনসার সদস্য ও উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের এ পদক্ষেপে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধারে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

ভাঙ্গায় ১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন রায়হান জামিল

ভূবনেশ্বর নদ দখলমুক্তে সদরপুরে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অভিযান

আপডেট সময়: ০১:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মোঃ ওয়াজেদ আলী, ফরিদপুরঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতবর্ষী ভূবনেশ্বর নদীর উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন।

কৃষ্ণপুর বাজারসংলগ্ন মরহুম আবদুস সামাদ মুন্সী এতিমখানা ও মাদরাসার সামনে অবৈধভাবে নির্মিত একটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ইশারত মুন্সী নদীর গতিপথ বন্ধ করে পাকা খুঁটি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

অভিযানের সময় ইশারত মুন্সী বলেন, “মাদরাসার কাজের মালামাল রাখার জন্য একটি অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছিলাম, কিন্তু প্রশাসন তা ভেঙে দিয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন,

“নদী দখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। নদী আমাদের প্রাণ, তাই দখলমুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে।”

অভিযানকালে সরকারি সার্ভেয়ার, ভূমি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, আনসার সদস্য ও উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের এ পদক্ষেপে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধারে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।